ড. লোকমান খান, বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ
সারসংক্ষেপ
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জেন-জি বা নতুন প্রজন্ম, যাদের জন্ম মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে, তারা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে শ্রদ্ধা করে ঠিকই, কিন্তু একমুখী বা চাপিয়ে দেওয়া রাজনৈতিক চেতনা মেনে নেয় না। চেতনার চেয়ে তারা কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তা মানসিকতা, প্রযুক্তিতে দক্ষতা, সামাজিক বৈষম্য সংক্রান্ত বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দেয়। ব্যক্তি-নেতৃত্বের তুলনায় যৌথ দায়িত্ব, স্বচ্ছতা এবং নির্মল রাজনীতি চায় তারা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঠিক ও বৈষম্যহীন উপস্থাপনা, তরুণদের জন্য স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন, কর্ম-জীবনের ভারসাম্য—এগুলোকেই তারা মূল্য দেয়। সুতরাং ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোকে জেন-জি’র বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি ও আকাঙ্ক্ষাকে বুঝে পরিকল্পনা করতে হবে, কেননা তারাই পরবর্তী ভোটার এবং আগামীর নেতৃত্বের প্রধান চালিকা শক্তি।
ভূমিকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় পার হয়ে গিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্ম—বিশেষ করে যাদের জন্ম প্রায় দুই সহস্রাব্দের সন্ধিক্ষণে—তারা আজকের জেনারেশন জেড (Gen Z)। এই প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, বরং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শুনে, পড়ে বা বড়দের কাছ থেকে জেনে বেড়ে উঠেছে। তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ একদিকে যেমন গর্বের ঐতিহাসিক অধ্যায়, অন্যদিকে আবার সেটা তাদের কাছে কেবলই অতীতের একটি অধ্যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তাদের অনুপ্রাণিত করতে পারে, কিন্তু চাপিয়ে দেওয়া বা একতরফা কোনো ব্যাখ্যা মেনে নিতে তারা নারাজ। ফলে রাজনীতিতে “চেতনা বিক্রি” বা একমুখী প্রচারণার কৌশল এখন আর আগের মতো কার্যকর থাকছে না।
এই প্রেক্ষাপটে, বাংলাদেশের নেতৃত্ব ও রাজনীতিতে জেন-জি কীভাবে প্রভাব ফেলছে—এটি নিয়ে যথেষ্ট আলোচনা প্রয়োজন। রাজনৈতিক দলগুলোকে ভাবতে হবে, আগামীদিনে যারা সর্বাধিক ভোটার হয়ে উঠবে এবং নেতৃত্বে আসবে, তাদের মনস্তত্ত্ব ও আকাঙ্ক্ষা কী। এই প্রজন্ম অত্যন্ত বাস্তববাদী, প্রযুক্তিবান্ধব, নিজস্ব চাহিদা এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ের ব্যাপারে সোচ্চার। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শেখারও আছে। আমরা যদি আজকের রাজনীতি ও নেতৃত্বে ইতিবাচক পরিবর্তন চাই, তবে জেন-জি’র আকাঙ্ক্ষা, মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি বুঝে পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বনাম বাস্তবতার দাবি
জেন-জি’র মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নেই, তাই তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধ একটি ঐতিহাসিক সত্য ও জাতির পরিচয়ের ভিত্তি। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শ্রদ্ধা করে, কিন্তু পুরোনো ধাঁচের “চেতনা নিয়ে রাজনীতি”কে তারা সেকেলে এবং প্রায়শই রাজনৈতিকভাবে স্বার্থসিদ্ধির উপায় মনে করে। তারা মনে করে, মুক্তিযুদ্ধ সব দলের, সব মানুষের, গোটা জাতির—এটি কোনো দলের একক সম্পদ নয়। তাই পাঠ্যবই বা রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠানে শুধু একজন নেতা বা একটি দলকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হলে তারা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তোলে।
এখানেই হয়েছে আওয়ামী লীগের একটি বড় ভুল, যা অন্য দলও কোনো না কোনোভাবে করে এসেছে বা করতে পারে। শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দিয়ে, জেন-জি’র মন জয় করা যাবে না। তারা ইতিহাসকে সম্মান করে, কিন্তু তাদের কাছে বর্তমান পরিস্থিতি, কর্মসংস্থান, উদ্যোক্তাভাবনা, প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন—এসবই বেশি প্রাসঙ্গিক। তারা চায় মুক্তিযুদ্ধের সেই বৈশ্বিক ও মানবিক মূল্যবোধ জাগরূক থাকুক, কিন্তু সেটির বিকৃতি বা দলীয়করণ না হোক।
কেন জেন-জি এতটা ভিন্ন?
আজকের যুগে তথ্যের সহজলভ্যতা এবং ডিজিটাল মাধ্যমে অগণিত প্ল্যাটফর্মের উপস্থিতি জেন-জি’কে আগের যেকোনো প্রজন্মের চেয়ে বেশি অবগত ও সক্রিয় করে তুলেছে। তারা যেকোনো তথ্যকে যাচাই-বাছাই করতে পারে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মত প্রকাশ করতে পারে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিজেদের তুলনা করতে শিখেছে। এর ফলে একদিকে তারা নতুন নতুন সুযোগ ও ধারণার প্রতি উদার, অন্যদিকে প্রচলিত ধ্যান-ধারণায় সন্দেহপ্রবণ।
রাজনীতিতে ব্যক্তি-নেতৃত্বের চেয়ে তারা বেশি গুরুত্ব দেয় যৌথ সিদ্ধান্ত ও গঠনমূলক সমালোচনাকে। কোনো নির্দিষ্ট নেতাকে আইকন বানিয়ে পূজা করা—একটি ধরনের রাজনৈতিক সংস্কৃতি, যা আগের প্রজন্মে দেখা গেছে, কিন্তু জেন-জি এটিকে ফ্যাসিবাদের লক্ষণ হিসেবে সন্দেহ করে। তারা বিশ্বাস করে, নেতৃত্ব মানে দলীয় বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক আধিপত্য নয়, বরং কার্যকর ও সমন্বিত কাজ, যেখানে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়।
জেন-জি কি চায়?
জেনারেশন জেড মূলত বাস্তবসম্মত, সময়োপযোগী ও অর্থবহ উদ্যোগকে সমর্থন করে। নিচে তাদের সাধারণ কিছু চাহিদা ও মানসিকতার সার-সংক্ষেপ দেওয়া হলো—
১. পেশাগত স্বীকৃতি ও অর্থবহ কাজঃ
শুধু অর্থ আয় করা নয়, বরং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনে এমন কাজ তারা বেশি পছন্দ করে। চাকরির পাশাপাশি সৃজনশীলতা, মানবকল্যাণ—এসব ক্ষেত্রে অবদান রাখার সুযোগ পেলে তারা উজ্জীবিত হয়।
২. উদ্যোক্তা মানসিকতা ও সৃজনশীলতাঃ
নিজস্ব উদ্যোগ, স্টার্টআপ অথবা নতুন কোনো উদ্ভাবনী প্রকল্পে কাজ করতে আগ্রহী। স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ এবং ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা জেন-জি’র মধ্যে প্রবল। তারা চায় কর্মসংস্থানে ভিন্নতা ও উদ্ভাবনের স্বাদ।
৩. ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড ও ডিজিটাল উপস্থিতিঃ
সোশ্যাল মিডিয়া ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তারা তাদের জীবন, কাজ ও ভাবনা শেয়ার করে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলতে চায়। এই পরিচয় কেবল বিনোদনের জন্য নয়, পেশাগত ক্ষেত্রেও গুরুত্ব বহন করে।
৪. কারিগরি দক্ষতা ও প্রযুক্তিভিত্তিক সমাধানঃ
প্রযুক্তিকে তারা কেবল বিনোদনের উপকরণ হিসেবে দেখে না। বরং শেখা, কাজ ও নেটওয়ার্ক তৈরি করতেও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে। আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে অনলাইনে দক্ষতা বিকাশ—সব দিকেই তারা স্বচ্ছন্দ।
৫. মানসিক স্বাস্থ্যের যত্নঃ
অতিরিক্ত কর্মচাপ, পারিবারিক বা সামাজিক চাপে মানসিক স্বাস্থ্য অবনতি ঘটতে পারে—এ কথা জেন-জি ভালোভাবেই জানে। তাই তারা ব্যক্তিগত সম্পর্ক, অবসর, সাইকোলজিক্যাল সাপোর্ট ইত্যাদির ওপর জোর দেয়।
৬. বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি (Diversity & Inclusion)ঃ
জেন-জি মনে করে, যে কোনও পরিচয়—লিঙ্গ, ধর্ম, জাতি—সব ধরনের বৈচিত্র্যকে সম্মান করতে হবে। কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে সামগ্রিক সামাজিক জীবনেও অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিবেশ চায় তারা।
৭. যোগাযোগ ও গঠনমূলক সমালোচনাঃ
খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমেই সঠিক সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব—এ বিশ্বাস তাদের। শুধু সমালোচনা নয়, বরং সেই সমালোচনা থেকে সমাধানে পৌঁছানোই মূল লক্ষ্য।
রাজনীতির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি
মানসিকতা ও চাহিদার কারণে বাংলাদেশে রাজনীতির প্রচলিত ধরন—যেখানে বক্তৃতা, মিছিল, ধামাধরা দলীয় আনুগত্য এবং নেতাপূজা আছে—সেটি জেন-জি’কে খুব বেশি আকর্ষণ করে না। বরং তারা রাজনৈতিক দলগুলো থেকে স্পষ্ট নীতি, স্বচ্ছতা এবং তরুণদের জন্য নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা আশা করে।
তারা চায় না যে কোনো দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে একচেটিয়া মালিকানার দাবি তুলুক বা ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে উপস্থাপন করুক। এজন্যই যদি কোনো দল তাদের রাজনৈতিক প্রচারে খালি ইতিহাসকেই প্রধান হাতিয়ার বানায়, সেটি জেন-জি’কে তেমনভাবে আকর্ষণ করতে পারে না।
ভোটার হিসেবে শক্তিশালী উপস্থিতি
বাংলাদেশে তরুণ ভোটারের হার ক্রমেই বাড়ছে। ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের একটি বড় অংশ বর্তমানে ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, যারা মূলত জেন-জি কিংবা জেন-জি’র সঙ্গে সম্পর্কিত। তারা যেহেতু সংখ্যায় উল্লেখযোগ্য, তাই রাজনৈতিক দলগুলো এই তরুণদের কথা মাথায় রাখতেই হবে।
এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয়—তারা শুধু ভবিষ্যতের ভোটার নয়, ভবিষ্যতের নেতৃত্বও বটে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক প্ল্যাটফর্মে এই তরুণরাই নেতৃত্ব দিচ্ছে। অনলাইন প্রচারণা, সমমনা মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়া, সামাজিক আন্দোলন—সবখানেই জেন-জি’র স্পষ্ট উপস্থিতি। সুতরাং তাদের উপেক্ষা করে দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সাফল্য অর্জন করা মুশকিল।
করণীয় কী?
আগামীতে যে দল সরকার গঠন করবে বা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে, তাদের উচিত হবে জেন-জি’র মনস্তত্ত্বকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা। কেবলমাত্র একতরফা আদর্শ চাপিয়ে দিলে কিংবা এক নেতা বা দলের অবদান সবখানে জোর করে ফলাও করলে তরুণ সমাজ সেটি গ্রহণ করবে না। বরং যা দরকার তা হলো —
মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের সমগ্র ইতিহাসকে আরও তথ্যসমৃদ্ধ ও ভারসাম্যপূর্ণভাবে পাঠ্যপুস্তক ও মিডিয়ায় তুলে ধরা দরকার। এতে জেন-জি স্বপ্রণোদিত হয়ে মূল্যায়ন করতে শিখবে, আর “চাপিয়ে দেওয়া” ধারণা নিয়ে বিরূপ ধারণা তৈরি হবে না। সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তাভাবনা উত্সাহিত করতে হবে।
ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলা
জেন-জি এখন শুধু ভোটার বা সাধারণ নাগরিক নয়, তারা পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। সামাজিক মাধ্যমে কিংবা অফলাইনে, উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে অথবা রাজনৈতিক ময়দানে—তারা নিজেদের শক্তি ও সম্ভাবনা দেখাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মনে রাখা দরকার, অতীতে অর্জিত বিজয় বা ত্যাগের গল্প মূল্যবান, কিন্তু ভবিষ্যৎ গড়তে হলে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।
উপসংহার
আজকের বাংলাদেশে নেতৃত্ব প্রসঙ্গে ভাবতে গেলে জেন-জি’কে এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। নির্বাচনী রাজনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের নেতৃত্ব উভয় ক্ষেত্রেই জেন-জি গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাসকে তারা শ্রদ্ধা করে কিন্তু একমুখী প্রচারণা পছন্দ করে না। তারা প্রযুক্তিকে কেবল বিনোদনের খোরাক হিসেবে নয়, বরং দক্ষতা অর্জন, যোগাযোগ, উদ্যোগ গড়ে তোলা ও সমাজে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টির হাতিয়ার হিসেবে দেখে।
শিক্ষা, কর্মসংস্থান, পরিবেশ, সামাজিক অন্তর্ভুক্তি—এসব ক্ষেত্রে যদি সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো সুস্পষ্ট এবং তরুণদের উপযোগী পরিকল্পনা আনতে পারে, তবে জেন-জি সেই দলকে বা নেতৃত্বকে স্বাগত জানাবে। আর যদি অন্যায়ভাবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, যদি অতীতের গৌরবের নামে দলীয় প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করা হয়, তবে জেন-জি তা প্রত্যাখ্যান করতে দ্বিধা করবে না।
সবশেষে বলতেই হয়, সামনের দিনগুলোতে জেন-জি’কে উপেক্ষা করে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সাফল্য টেকসই হবে না। তাই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে যারা চিন্তা করেন, তাদের এখন থেকেই এই প্রজন্মের ভাবনা-চিন্তা-প্রয়াস সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করে, তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কার্যকর প্ল্যাটফর্মে রূপান্তরিত করেই দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে। মুক্তিযুদ্ধ যেমন আমাদের ঐতিহাসিক অহংকার, তেমনি বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জেন-জি-র উদ্যম ও দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হতে পারে। দেশকে এগিয়ে নিতে এই বাস্তববাদী, প্রযুক্তিগ্রাহী ও চ্যালেঞ্জ-গ্রহণকারী প্রজন্মের শক্তি কাজে লাগানোই হবে আগামীর বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান চাবিকাঠি।
১৮ মার্চ ২০২৫





Leave a comment