ডঃ লোকমান খান

আজকের এই পরস্পর সংযুক্ত বিশ্বে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট সফলতার নিশ্চয়তা নয়। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাও বিশ্বের অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন এবং আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করে। এর জন্য এমন একটি শিক্ষাক্রমের প্রয়োজন রয়েছে যা তাদেরকে বিশ্বায়িত চাকরির বাজারে প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞানে সজ্জিত করবে। এই নিবন্ধটি বাংলাদেশের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষাকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য করার সম্ভাব্য সুবিধা ও চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনা করবে। বিশেষ করে ইংল্যান্ড এবং অন্যান্য অনেক উন্নত দেশে প্রচলিত ‘এ’ লেভেল শিক্ষাক্রমের সাথে এই সামঞ্জস্যতা স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করা হবে।

  1. বর্তমান পরিস্থিতি: মুখস্থ বিদ্যা বনাম সমালোচনামূলক চিন্তাধারা
  2. সম্ভাব্য সুবিধা ও বিবেচ্য বিষয়: একটি সুষম পদ্ধতি
  3. সংশ্লিষ্ট পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি: উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য একত্রে কাজ করা
  4. সংযোগ স্থাপন: ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি
  5. বাংলাদেশি তরুণদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়া
  6. সম্ভাব্য উদ্বেগ ও সমাধানের কৌশল
  7. উপসংহার: কর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান

বর্তমান পরিস্থিতি: মুখস্থ বিদ্যা বনাম সমালোচনামূলক চিন্তাধারা

বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা উচ্চশিক্ষার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।তবে, বর্তমান এইচএসসি শিক্ষাক্রমের আন্তর্জাতিক সামঞ্জস্যপূর্ণতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারো কারো মতে, এই শিক্ষাক্রমটি মুখস্থ বিদ্যা ও একঘেয়ে পরীক্ষার ওপর অতিরিক্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়। শিক্ষায় মুখস্থ বিদ্যার কিছু গুরুত্ব থাকলেও দ্রুতগতির পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে সফল হতে হলে সমালোচনামূলক চিন্তাধারা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং স্বাধীন শিক্ষন পদ্ধতি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

ইংল্যান্ড ও অন্যান্য কমনওয়েলথ দেশগুলিতে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত যোগ্যতামূলক শিক্ষাক্রম ‘এ’ লেভেল এ ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় সমাধান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই শিক্ষাক্রম সমালোচনামূলক চিন্তাধারা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা এবং স্বাধীন শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয় – বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসব দক্ষতারই সন্ধান করে। এইচএসসি শিক্ষাক্রমকে ‘এ’ লেভেল কাঠামোর সাথে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক শিক্ষার ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক ক্ষেত্রে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা উল্লেখযোগ্য সুবিধা লাভ করতে পারবে।

সম্ভাব্য সুবিধা ও বিবেচ্য বিষয়: একটি সুষম পদ্ধতি

এইচএসসি শিক্ষাক্রমকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য করার ফলে বহুবিধ সুবিধা পাওয়া যেতে পারে। একটি প্রধান সুবিধা হলো বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্বব্যাপী সম্মানিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সরাসরি ভর্তি হওয়ার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের জাতীয় শিক্ষাব্যবস্থার স্বীকৃতি জাতীয় গর্বের বিষয় হয়ে উঠবে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে সাহায্য করবে। এছাড়াও, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যোগ্যতা সম্পন্ন স্নাতকরা বিশ্বব্যাপী চাকরির বাজারে সফলতার জন্য আরও দৃঢ় অবস্থানে থাকবে।

যাইহোক, কিছু উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের বিষয়ও বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলগুলিতে সারা দেশ জুড়ে এইচএসসি শিক্ষার একটি সুসম এবং গ্রহনযোগ্য মান নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষাক্রমের সম্ভাব্য অসামঞ্জস্যতা কিছু স্নাতককে, বিশেষ করে যারা বর্তমান ব্যবস্থায় চমৎকার ফলাফল করেছে তাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে পারে। এই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলায় একটি সুপরিকল্পিত ও সহযোগিতামূলক পদ্ধতির প্রয়োজন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি: উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য একত্রে কাজ করা

এইচএসসি শিক্ষাক্রমকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য করার সম্ভাব্য সুবিধা বাংলাদেশের শিক্ষা খাতের সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের জন্যই বেশি প্রযোজ্য।

  • শিক্ষার্থী: বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাপক পরিসরের শিক্ষাগত সুযোগ এবং উজ্জ্বল কর্মজীবনের সম্ভাবনা এই উদ্যোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা। সমালোচনামূলক চিন্তাধারা ও স্বাধীন শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া এমন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনাই নয়, বরং গতিশীল বিশ্বে জীবনব্যাপী শেখার জন্যও তারা প্রস্তুত হবে।
  • শিক্ষকবৃন্দ: নতুন শিক্ষাক্রম কার্যকরভাবে শেখানোর দক্ষতা অর্জনে শিক্ষকদের জন্য পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির প্রয়োজন হবে। এই কর্মসূচিগুলি পেশাগত উন্নতি ও দক্ষতা বিকাশের মূল্যবান সুযোগ তৈরি করতে পারে।
  • নীতিনির্ধারকরা: আন্তর্জাতিক মান গ্রহণ এবং জাতীয় শিক্ষাক্রমের শক্তি বজায় রাখার মধ্যে ভারসাম্য স্থাপন করা নীতিনির্ধারকদের জন্য একটি প্রধান চ্যালেঞ্জ। মসৃণ পরিবর্তন এবং যেকোনো সংস্কারের কার্যকর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে তাদের সম্পদ বরাদ্দ সাবধানে বিবেচনা করতে হবে।
  • বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ: এইচএসসি যোগ্যতা এবং এ লেভেলের মধ্যে সমমানের স্পষ্ট নির্দেশিকা বাংলাদেশের এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় উভয়েরই জন্যই উপকারী হবে। এটি ভর্তি প্রক্রিয়া সহজতর করবে এবং বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কঠোর পড়াশোনার জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত করবে।

সংযোগ স্থাপন: ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার পদ্ধতি

এইচএসসি শিক্ষাক্রমকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য করার ক্ষেত্রে সকল সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সফল রূপান্তরের জন্য এখানে একটি সম্ভাব্য রোডম্যাপ উপস্থাপন করা হলো:

১. ধাপে ধাপে চালুকরণ: এইচএসসি শিক্ষাক্রমে ক্রমান্বয়ে ‘এ’ লেভেল ধাঁচের বিষয়বস্তু ও মূল্যায়ন অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাওয়া একটি কার্যকর পদ্ধতি। এটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং পুরো শিক্ষাব্যবস্থার জন্য সহজে অভিযোজিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

২. শিক্ষাক্রম সহযোগিতা: বাংলাদেশের শিক্ষাক্রম উন্নয়নকারীদের সাথে ‘এ’ লেভেল এওয়ার্ড প্রদানকারী সংস্থানগুলির মধ্যে দৃঢ় সহযোগিতা গড়ে তোলা অত্যাবশ্যক। এটি উভয় পদ্ধতির সামর্থ্যকে প্রতিফলিত করে এমন একটি সুসামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষাক্রম নিশ্চিত করবে।

৩. শিক্ষক প্রশিক্ষণ: এ লেভেল পড়ানোর পদ্ধতির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে বিস্তৃত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিনিয়োগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশি শিক্ষক এবং বিদেশ থেকে আসা অভিজ্ঞ এ লেভেল শিক্ষকদের মধ্যে সহযোগিতা এই কর্মসূচিগুলিকে আরও উন্নত করতে পারে।

৪. আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি চুক্তি: বাংলাদেশের শিক্ষা বোর্ড এবং এ লেভেল এওয়ার্ড প্রদানকারী সংস্থানগুলির মধ্যে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি চুক্তি স্থাপন করা শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় উভয়ের জন্যই অত্যন্ত প্রয়োজনীয় স্বচ্ছতা ও সুস্পষ্টতা নিশ্চিত করবে।

৫. স্পষ্ট যোগাযোগ চ্যানেল: ভর্তি প্রয়োজনীয়তা এবং যোগ্যতার সমমানের বিষয়ে খোলা যোগাযোগ চ্যানেল বজায় রাখা একটি সহজ রূপান্তরের জন্য অত্যাবশ্যক। এটি উদ্বেগ কমিয়ে দেবে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্ট্রিমলাইনড আবেদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে।

বাংলাদেশি তরুণদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়া

এইচএসসি শিক্ষাক্রমকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য করা বাংলাদেশি তরুণদের ক্ষমতায়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ। চ্যালেঞ্জ থাকলেও সহযোগিতামূলক এবং সুপরিকল্পিত পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশে আরও সুসংহত ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শিক্ষা ব্যবস্থার পথ সুগম করা যাবে। এটি বাংলাদেশি তরুণদের বিশ্ব মঞ্চে তাদের শিক্ষাগত আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং আন্তর্জাতিক কর্মক্ষেত্রে অর্থবহ অবদান রাখতে সাহায্য করবে।

সম্ভাব্য উদ্বেগ ও সমাধানের কৌশল

অর্থনৈতিক দিক: এইচএসসি শিক্ষাক্রমকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য করার জন্য খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ নিয়ে উদ্বেগ থাকা স্বাভাবিক। তবে কৌশলগত সম্পদ বরাদ্দ, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব অনুসন্ধান এবং শিক্ষাক্রম উন্নয়ন ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা আহরণের মাধ্যমে এই খরচ কমানো যেতে পারে।

সুযোগের সমতা ও প্রাপ্যতা: বাংলাদেশে সামাজিক-অর্থনৈতিক সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষায় সমান সুযোগ নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্যভিত্তিক বৃত্তি, প্রয়োজনভিত্তিক আর্থিক সহায়তা কর্মসূচি এবং গ্রামাঞ্চলে শিক্ষা অবকাঠামোয় বিনিয়োগের মতো কৌশলগুলি এই অসমতা দূর করতে সাহায্য করতে পারে।

শিক্ষকদের কর্মভার: শিক্ষাক্রম পরিবর্তন এবং পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা শিক্ষকদের কর্মভার বাড়িয়ে দিতে পারে। এ বিষয়ে উদ্বেগ দূর করার জন্য যথাযথ সহায়তা ব্যবস্থা, যেমন শ্রেণিকক্ষের আকার ছোট করা এবং নমনীয় শিক্ষা কাঠামো প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ।

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিবেচনা: শিক্ষাব্যবস্থায় বাংলাদেশি সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধ সংরক্ষণের গুরুত্ব অস্বীকার করা যায় না। রিভাইজড শিক্ষাক্রম এভাবে গড়ে তোলা উচিত যাতে জাতীয় গর্ব বৃদ্ধিতে সহায়ক হওয়ার পাশাপাশি বিশ্বায়িত দুনিয়ায় সফল হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করবে । আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানের পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস, সাহিত্য এবং সামাজিক মূল্যবোধের বিষয়বস্তু শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে এটি অর্জন করা যেতে পারে।

উপসংহার: কর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান

এইচএসসি শিক্ষাক্রমকে আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য করা কোনো দ্রুত সমাধান নয়, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ। এটি বাংলাদেশি তরুণদের প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব পরিবেশে সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞান দিয়ে সশস্ত্র করার একটি সুযোগ। শিক্ষা খাতের সংশ্লিষ্ট পক্ষগণ একসাথে কাজ করে চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করে এবং সহজ রূপান্তর নিশ্চিত করতে পারে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষক, শিক্ষাক্রম উন্নয়নকারী, নীতিনির্ধারক এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এই প্রবন্ধে উল্লিখিত সম্ভাবনাবলী নিয়ে খোলা আলোচনা ও গবেষণায় লিপ্ত হওয়ার জন্য উৎসাহিত করছি। আমার চাইলেই স্থানীয় সামর্থ্যের সাথে আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম পদ্ধতিগুলি একত্রিত করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এবং সামগ্রিকভাবে জাতির জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচন করতে পারি।

———

ড. লোকমান খান একজন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ, যিনি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার এবং শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে চলেছেন। তিনি বৈজ্ঞানিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেন। তার সাথে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে।



Discover more from LK INNOVATE

Subscribe to get the latest posts sent to your email.

Leave a comment

Trending

Discover more from LK INNOVATE

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading